কথায় কথায় মানুষ পে’টান ১৯ বছরের সিমি

কথায় কথায় তরুণ ও তরুণীদের পে’টানো যেন নে’শায় প’রিণত হয়ে গেছে তাহমিনা সিম’রান সিমির। লেডি গ্যাং লিডার কুখ্যাতি পাওয়া ১৯ বছরের সিমির দলে আছে আরও সাত তরুণ-তরুণী।

কখনও মানুষের বাসায় ঢুকে, কখনও বিনোদন কে’ন্দ্র নেভাল একাডেমি আবার সিআরবি শিরীষতলায় প্র’কাশ্যে মানুষ পিটিয়ে উঠে আ’সছেন শিরোনামে।জনবহুল এলাকায় মানুষ পে’টানোর দৃ’শ্যের ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুক ও ইউটিউবে নিজেই ছ’ড়িয়ে দেন তিনি। ছয় মাসের ব্যবধানে দুই মা’মলার আসামি হয়ে ফের কা’রাগারে গেছেন তিনি। মা’মলা ছাড়াও তার বি’রুদ্ধে মানুষ পে’টানোর বহু অ’ভিযোগ রয়েছে পু’লিশের খাতায়।

তদ’ন্ত ক’র্মকর্তা নগরীর পতেঙ্গা থা’নার এসআই মহিউদ্দিন চৌধুরী সমকালকে বলেন, টিকটক তারকা হিসেবে দ্রুত ফেমাস হতেই মানুষ পে’টানো নে’শায় প’রিণত হয়েছে সিমির। শুধু তিনি একা নন, ছয়-সাতজনের একটি গ্যাংও তৈরি ক’রেছেন। টার্গেট করেই মানুষকে পে’টানো ভিডিও ধারণ করে সিমি নিজেই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছ’ড়িয়ে দেন। গতকাল বুধবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কা’রাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সিমি নগরের ইপিজেড থা’নার সিমেন্ট ক্রসিং বড়বাড়ি এলাকার কামাল হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে পালক বাবার কাছে বড় হচ্ছেন তিনি। নগরীর একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। সিমির গ্যাংয়ের সাত সদস্য হলো- শাকিল, মাহি, আরবিন, ওয়াহিদ, রাইসা, রায়হান ও রুবেল। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তারা কলেজ পড়ূয়া শিক্ষার্থী। এর মধ্যে শাকিল নগরীর পতেঙ্গার মাদ্রাসা গেট এলাকার বাসিন্দা, মাহি সল্টগোলা ক্রসিং, আরবিন ১৪ নম্বর লালদিয়ারচর, রাইসা নাসিরাবাদ, রায়হান জিইসি মোড় ও রুবেল ১৪ নম্বর লালদিয়ারচর এলাকার বাসিন্দা।

পান থেকে চুন খসলেই পরিচিত ব’ন্ধু ও টার্গেটকে পে’টাতে সিমির গ্যাং তিনটি এলাকাকে বেছে নেয়। এগুলো হলো- পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও জনবহুল সিআরবি মাঠ। সিমির দলে থাকা সদস্যের কেউ পে’টানোর দৃ’শ্য ধারণ করেন, সিমিসহ তিনজন সরাসরি মা’রধ’রে অংশ নেন। পে’টানোর দৃ’শ্য কয়েকটি অংশে ভাগ করে তা টিকটক ভিডিওর মতো তৈরি করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছ’ড়িয়ে দেন।